প্রিয়া সাহাঃ কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা মিরপুরের ক্যাসিনো সম্রাট আব্দুল মমিন এখন কুড়িগ্রাম রৌমারীর ২নং শৌলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী। আব্দুল মমিন এর বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ২ নং শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামে। অভাব অনটনে বড় হওয়া মমিন জিবিকার তাগিতে চলে যান রাজধানী ঢাকায়। প্রথম পর্যায়ে তিনি গার্মেন্টস এর চাকরী করলেও টাকার লোভে এক সময় জরিয়ে পরে ক্যাসিনিওর সাথে। ক্যাসিনোর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে আব্দুল মমিন ঢাকা মিরপুর এলাকায় থাকা কালিন ক্যাসিনোর সাথে জরিয়ে পরে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে যখন ধরপাকরাও শুরু হয় তিনি পরিবার নিয়ে গোপনে গ্রামে আত্নগোপনে চলে যায়। এবং এলাকার বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে হাত মিলিয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক পদ নেয়। ইউনিয়ন নির্বাচন শুরু হলে সেই বিএনপির নেতা কর্মীদের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে দাড়ায়।

মিরপুরের তার এক সহযোগি গার্মেন্টস কর্মী জানিয়েছেন, মমিন ছিলো টাকার প্রতি লোভি মানুষ। গার্মেন্টস চাকরী করার সময় তিনি অনেক জনের কাছ থেকে টাকা ধার করেন। কিন্তু সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি। তিনি আরও বলেন, তার মধ্যে টাকার লোভ এতোটা ছিলো যে সে এক সময় জুয়া খেলা শুরু করে। আমরা যাকে ক্যাসিনো বলি। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোথা যেন চলে গেছে তাকে আর মিরপুরে দেখা যায়নি। এদিকে রৌমারী এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন মমিন। এলাকায় পোষ্টা ব্যানারে ছায়লাব। এলাকার মানুষের মনে একটাই কথা এতো টাকা কোথায় পেলে মমিন।
এলাকার একজন নাম না বলা শর্তে বলেন, আব্দুল মমিন শুধু ব্যানার বানিয়েছে ৫ লাখ টাকার এছাড়াও পোষ্টার বানিয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি মমিনের কাছে টাকা নাই। কিন্তু এতো টাকা কোথায় পেলো? তিনি যে শুধু ব্যানার পোষ্টার বানিয়েছে তা নয় এলাকার অনেক মানুষকে টাকাও দিচ্ছে। মটরসাইকেলে প্রতিদিন তেল ভোরে দিচ্ছে। তার সাথে প্রায় ১৫ টা মটরসাইকেল থাকে সব গুলোকে টাকা ও তেল ভোরে দিচ্ছে।

মমিন কি ক্যাসিনোর সাথে জরিত জানতে চাইলে আর একজন এলাকা বাসি বলেন, আমার নাম টা লিখেন না। কারণ মমিন চোরা কারবাড়ির কাজও করে। তাই ভয় হয় সে যদি আমাকে গোপন করে। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ঢাকায় থাকা সময় মমিন অনেক টাকার মালিক হয়েছে। কি ভাবে হলো জানিনা তবে শুনেছি সে অবৈধ কাজ করতো। এই জন্য নাকি তার চাকরীও চলে যায়। এ বিষয়ে আব্দুল মমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি বলেন, স্থানীয় সাংবাদিক প্রশাসন সবই আমার ম্যানেজ করা। যার যা মন চাইবে তাই বলতে পারে। এগুলো নিয়ে ভাবার সময় আমার নাই।।