প্রভাস বিশ্বাসঃ ঠাকুরনগরের শিমুলপুর সুকান্ত পল্লীর তরুণ সংঘের সুসজ্জিত পূজা মন্ডপ বহিরাগত দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা। তদন্তে গাইঘাটা পুলিশ।

ক্লাবের সহ-সম্পাদক প্রসেনজিতের রাহা জানালেন, “এদিন সন্ধ্যার পর বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে ও আমন্ত্রিত ছিলেন গাইঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি, প্রায় রাত একটা নাগাদ আমরা সমস্ত কিছু গুছিয়ে সমস্ত লাইট বন্ধ করে শুধুমাত্র একটা এলইডি জ্বালিয়ে আমার যে যার বাড়ি পৌঁছে যাই। আনুমানিক ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ক্লাবের পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন এক মৎস্য ব্যবসায়ী। মন্ডপের আগুন দেখে তার চিৎকারে দ্রুত এলাকার মানুষ ছুটে আসে। আমরাও খবর পেয়ে ছুটে যাই”।

ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয় পুজো কমিটি। পুড়ে গেছে মায়ের মূর্তি, বিদ্যুতের তার সহ ডেকোরেটরের অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। যার ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা। পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত পুলিশ আসে। তদন্তের আশ্বাস দেন। ঘটনার তদন্তের দাবি জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন।
ক্লাবের আরেক সদস্য অনুপম বালা জানালেন, “সাধারণত ইলেক্ট্রিকের শর্ট-সার্কিট, মোমবাতি বা প্রদীপের শিখা থেকে আগুন লেগে থাকে। এক্ষেত্রে তার কোনটারই সম্ভাবনা ছিল না। যেহেতু সমস্ত লাইট বন্ধ করে, শুধুমাত্র একটা এলইডি লাইট জ্বালিয়ে আমরা বাড়ি ফিরে যাই। আমাদের সকলের ধারণা কেউ বা কারা হিংসার বশবর্তী হয়েই এমন বিদ্বেষমূলক আচরন করেছে। আমাদের প্যান্ডেলকে পুড়িয়ে দিয়েছে, পুড়িয়েছে মায়ের মূর্তিকেও”। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।