চঞ্চল পালঃ তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বারাসাতের পুরপ্রধান অশনি মুখার্জিকে। নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। অকস্মাৎ বারাসাতের তৃনমূলের জেলা সভাপতি পরিবর্তনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। বারাসাত জুড়ে আলোচনা হচ্ছে, বারাসাতের জনৈক বস্ত্র ব্যবসায়ী ইডির নজরদারিতে, আর ওই বস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বারাসাতের তৃনমূলের সভাপতি অশনি মুখার্জির। সেই কারণেই কি তাকে তরিঘরি সরিয়ে দেওয়া হল দলীয় সভাপতির পদ থেকে। এ নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা শুরু হয়েছে বারাসাত তৃনমূলের জেলার অন্দরে। এই বিষয়ে অশনি মুখার্জি বলেন,…
Read MoreCategory: রাজনীতি
বিজেপি-ছুট বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল-বনগাঁর জেলা সভাপতি
চঞ্চল পালঃ তৃণমূলের বনগাঁ-সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হলো বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। এর পাশাপাশি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে শ্যামল রায়কে। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে গোপাল শেঠ এবং শঙ্কর দত্তকে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।দলকে শুদ্ধিকরণের পথে নিয়ে যাওয়ার কথা অনেকদিন ধরেই বলা হচ্ছিল। বিশ্বজিৎ বাবুকে সভাপতি করা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল।দেবদাস বলেন “বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি বিধায়ক। ওরা কোন লোক পাচ্ছে না তাই বিজেপি বিধায়ককে সভাপতি করেছে৷ কে কত দিতে পারবে তাকেই দায়িত্ব দিতে হবে।”…
Read Moreকার জমি চাই, মালকড়ি ফেলুন, হয়ে যাবে..
মুর্শিদাবাদের খাড়গ্রাম বি.এল.আরও অফিসে ঘুঘুর বাসা সৌভিক ব্যানার্জীঃ ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলার খড়্গ্রাম বিএলআরও অফিস। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়্গ্রাম ব্লকে কান্দি পৌরসভার বাঘডাংগা এলাকার বাসিন্দা কমলাবালা দেবী-র নামে কিছু চাষজমি রেকর্ডেড ছিলো, যিনি ১৯৯২ সালে প্রয়াত হন। মৃত্যুর পরেও চাষজমিগুলো কমলাবালা দেবীর নামেই রেকর্ডেড ছিলো, যদিও তার ছেলে চাষাবাদ করতেন। তার পরিবারে একমাত্র ছেলে প্রনবেশ ভট্টাচার্যও ২০১৯ সালে প্রয়াত হন। পুত্রবধূ সুলেখা ভট্টাচার্যও ২০১৪ সালে প্রয়াত হন। হিন্দু উত্তরাধিকার আইনানুযায়ী তাদের রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তির বর্তমান মালিক প্রনবেশের সন্তান ২ মেয়ে এবং ৩ ছেলে। কিন্তু সম্প্রতি আশ্চর্যজনক ভাবে জানা যায়, মৃতা কমলাবালা…
Read Moreউন্নয়নের ১১ বছর উৎযাপন হলো বেলডাঙ্গা ২ ব্লকে
সৌরভ চক্রবর্তীঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীনে রাজ্য সরকারের ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান মানুষের মধ্যে তুলে ধরতে সারা রাজ্য জুড়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা ২ ব্লকে উৎযাপন হলো উন্নয়নের এগারো বছর “মানুষের পাশে মানুষের সাথে”।গত এগারো বছরের উন্নয়নের যে ধারা চলে আসছে বিভিন্ন প্রকল্পের যেমন কন্যাশ্রী প্রকল্প, যুবশ্রী প্রকল্প,সবুজসাথী,স্বাস্থ্যসাথী,লক্ষী ভান্ডার ইত্যাদি। এগুলিকে আগামীদিনে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে যাতে পৌঁছাতে পারে তার জন্য দুয়ারে সরকার পাড়ায় সমাধান জাতীয় প্রকল্ল্পগুলো নিয়ে সর্বাঙ্গীন আলোচনা ও প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের কর্মসূচি চলছে। আজকের এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করলেন রবি আলম চৌধুরী (বিধায়ক,৭০ রেজিনগর…
Read Moreমৎস্যজীবী বলে পানিহাটির পুরনো তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে জুটল না দলীয় পতাকা
দামি নেতাও দিল না ফুল ধৃতরাষ্ট্র দত্তঃ ক্ষমতার দম্ভে সহকর্মীকে এভাবেও ভুলে যাওয়া যায়❓সরকারি দল করলেই কি সকলের মাথা কিনে নিজে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ❓সরকারি দলের নেতা হলেই কি অবলীলায় দুধে-ভাতে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে❓পানিহাটির আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা এক আদর্শবান তৃনমূল কর্মীর অকাল মৃত্যুতে ওই প্রশ্নগুলো প্রতিধ্বনি হয়ে ঘুরছে নীতি পরায়ন রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে। যখন সরকারি দলের একদল ধান্দাবাজ নেতাদের ফুলে ফেঁপে ওঠার ঘটনায় সমাজের চারপাশটা অন্ধকার হয়ে আসে। রাজনীতি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সর্বত্র শুধু ভয় আর আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তখন ওই আদর্শবান তৃনমূল কর্মী তপন চক্রবর্তী মরে…
Read Moreফিরহাদ হাকিম জানেন?
আপনার নামে তামুক খাচ্ছেন আপনারই ঘনিষ্ঠ “বন ও ভূমি-কর্মাধ্যক্ষ” এ.কে.এম. ফারহাদ? ধৃতরাষ্ট্র দত্তঃ ক্ষমতার আস্ফালন।ক্ষমতার দম্ভ।ক্ষমতার বাহাদুরি।ক্ষমতার অপব্যবহার। অহংবোধে দিশেহারা। ঘটনার নিষ্ঠুরতারকথা জানলে, এত কিছু বললেও কম বলা হবে।নিরীহ দরিদ্র প্রতিবেশীকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের “বন ও ভূমির-কর্মাধ্যক্ষ” এ.কে.এম. ফারহাদের বিরুদ্ধে। ৬ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার খড়িবাড়ির আন্দুলিয়া গ্রামে ইফতার মজলিস এর আয়োজন করেন এ কে এম ফারহাদ। সেই উপলক্ষে গ্রামে ঢোকার মুখে নিজের নামের ব্যানার সম্বলিত তোরোণ তৈরি করেন তিনি। সেই তোরোণে নিজের নামের পাশে অনেক পদ অলঙ্কৃত করার পাশাপাশি…
Read Moreআবার ধর্মান্তকরণ
অশিক্ষা ও দরিদ্র ভারতবাসীর এই কি নিয়তি? ধৃমল দত্তঃ হুগলির মগরাহাটের বিভিন্ন এলাকায় দারিদ্র্য ও অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে আদিবাসীদের ধর্মান্তরিত করার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে তুলাকালাম এলাকায়। বুধবার একটি হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে মগরাহাটের বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। হিন্দু সংগঠন ওম্কারনাথ মিশনের পক্ষ থেকে কান্ঞ্চন নন্দীর অভিযোগ, তাঁরা বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করছেন নির্বিচারে ও বিনা বাধায় একপ্রকার ফুসলিয়ে গরীব আদিবাসী হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ হুগলির মগরা, ব্যান্ডেল, বলাগড়, দিগসুই সহ বিস্তীর্ন অঞ্চলে এই জাল বিস্তার করা হয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ টাকা,…
Read Moreকে মারল, কারা মারল মতুয়াদের বাস থেকে নামিয়ে?
বাজল ডংকা। হুঁশিয়ার! ধৃতরাষ্ট্র দত্তঃ ঠাকুরনগর বারুনী মেলাগামী মতুয়া ভক্তদের গাড়ি আটকে মারধরের অভিযোগ উঠল একদল উন্মত্তের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ২ মতুয়া। মতুয়াদের একপক্ষের নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দ্বারস্থ হয়েছেন আক্রান্তমতুয়ারা । ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে মতুয়ারা বুঝে নেবে বলে হুমকি হুঁশিয়ারি দিলেন শান্তনু ঠাকুর।মতুয়া দলের প্রতিনিধিদের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া নরেন্দ্রপুর থেকে ২৯ তারিখ রাতে ঠাকুরনগরের বারুনী মেলার উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা হয় মতুয়া দল । গভীর রাতে বারাসাত কাজীপাড়া এলাকায় কিছু যুবক ওই বাস আটকায় । মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করতে থাকে । প্রতিবাদ…
Read Moreবিধাননগর ১০ নম্বরে জবরদস্ত লড়াই করছে লাল সৈনিকরা
বিচারের ভার মানুষের – অমরনাথ ধৃতরাষ্ট্র দত্তঃ আসন্ন বিধাননগর কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ নং ওয়ার্ডে শাসকদলের ক্ষমতার অহংকার ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছেন কম বয়সী বাম ছাত্র যুবরা। কোন ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও রেড ভলান্টিয়ার হিসাবে রাজারহাট দমদমের বিস্তির্ণ অঞ্চলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন এই কম বয়সী ছেলে মেয়েগুলো। কখনও করোনা পেশেন্টকে পৌঁছে দিচ্ছেন হাসপাতালে। কখনও অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন মুমুর্ষ রোগীকে। কখনও আবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন। কখনও কমিউনিটি কিচেন থেকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন অভুক্ত মানুষকে। আর এতেই ক্ষমতার অহংকার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে শাসকদলের। এই…
Read Moreবিধাননগর ১০ নম্বরে তৃনমূল জীর্ণ:পলাশ দাস
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সম্ভাবনাকে কাজে লাগান- বিধাননগর কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ নং ওয়ার্ডের বাম কর্মী সমর্থকদের কাছে এই আবেদনই করলেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির নেতা পলাশ দাশ! তিনি বলেন মানুষের সমর্থনে এই ওয়ার্ড জিততে পারবে না শাসকদল। কারণ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ন এই দলটার নিজস্ব ভোটও ভাঙতে শুরু করেছে। আর সেই কারনেই বহিরাগত দুষ্কৃতিদের আনাগোনা, ফ্লেক্স ছেঁড়া ইত্যাদি কাজগুলো তাদের করতে হচ্ছে। মানুষের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রতিটি ভোটার যাতে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এদের পরাজয় সম্ভব। ভোটের…
Read More